হবিগঞ্জ বিজিবি ৫৫ব্যাটালিয়ন জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাই পণ্য৷ উদ্ধার ও বিভিন্ন চোরাইপণ্য পাচারের সাথে জড়িত ৩৫ জনকে আটক করেছে।
জানুয়ারী মাসে ৫৩৫ বোতল ফেনসিডিল,৩৩৩ কেজি গাজা, ২৭১ বোতল বিদেশী মদ, ৬৫ টি বিয়ার ক্যান, ৯৮ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে।
ফেব্রুয়ারী মাসে ১৫৭ বোতল ফেনসিডিল, ২৯০ কেজি গাজা, ১৩৭ বোতল বিদেশী মদ, ১৬ টি বিয়ার ক্যান, ৩৯৩ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে।
মার্চ মাসে ২৮০ বোতল ফেনসিডিল, ৪৪৮ কেজি গাজা, ১০৮ বোতল বিদেশী মদ, ৩২ টি বিয়ার ক্যান ও ১৮৫ পিচ ইয়াবা সহ মোট ৭৭৬ টি মাদক পণ্য উদ্ধার করে।
এসব পাচারের সাথে জড়িত জানুয়ারী মাসে ১১ জন কে আটক করে। মামলা হয়েছে ৫৫ টি। এ মাসে মোট ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকার চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়।
ফেব্রুয়ারী মাসে ৫৮ টি মামলায় ১১ জন কে আটক করা হলেও পলাতক রয়েছে ৪ জন। উদ্ধারকৃত চোরাই পণ্যের মূল্য ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩২ টাকা।
মার্চ মাসে ৮৭ টি মামলায় ১৩ জনকে আটক ও ৭ জন এখনো পলাতক রয়েছে। এ মাসে উদ্ধারকৃত চোরাই পণ্যের মূল্য ৩৭ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৩ টাকা।
৩মাসে উদ্ধারকৃত চোরাই পণ্যের মূল্য ১কোটি ৪৩লাখ ৩৩হাজার ৬০৫টাকা।
হবিগঞ্জ বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সামিউন নবী চৌধুরী জানান, “তাঁর অধিনস্থ সীমান্ত এলাকায় চোরা চালান সহ সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করতে সার্বক্ষনিক প্রতিটি বিও পির বিজিবি সদস্যরা সচেষ্ট।”
ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত এলাকায় আরো নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশে যাতে মরননেশা ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাজা সহ মদ প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে তিনি ও তাঁর অধিনস্থ বিজিবি জোয়ানরা খুবই তৎপর। শুধু নেশা পণ্য নয়, যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সীমান্তে এপার ওপার হতে দেয়া হবেনা।
এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। দেশের স্বার্থে সকল দেশ প্রেমিক নাগরিক ও সচেতন মহল এগিয়ে আসলে সীমান্তে চোরাচালন সহ সীমান্ত সন্ত্রাস সমূলে নিরসন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে।