নোয়াখালীতে বিভিন্ন উপজেলায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলার সকল উপজেলায় খাল খনন করে । এতে সকল পুরোনো খালগুলো খনন করা হয়। এই খাল খননের কারণে কেউ কেউ উপকৃত হলেও কোম্পানীগঞ্জ ও কবির হাট উপজেলার মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।

বিজ্ঞাপন
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কবির হাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর মন্ডলিয়া ও ভুতাখালী গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চর এলাহী ইউনিয়নের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই খাল খনন করা হয় শুকনো মৌসুমে তখন খালে তেমন পানি ছিল না। যখন বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পায় আর খালে নদীর জোয়ার এর পানি ডুকতে থাকে তখন শুরু হয় সমস্যা। জোয়ার ভাটার কারনে খালের দুই পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয় এই ভাঙ্গন এখন চরম রূপ নিয়েছে।
কবির হাট উপজেলার চাপরাশি হাট চর মন্ডলিয়া সড়কের রিক্সাওয়ালার দোকান সংলগ্ন ব্রিজ, গনির দোকান সংলগ্ন ব্রিজ, ভুতাখালী ব্রিজ এই তিনটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে যার কারণে এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের চরম সমস্যা হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চর মন্ডলিয়া বাজার। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বাড়ী ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ।
এদিকে চর এলাহী ইউনিয়নের খেয়া ঘাট ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভবনা আছে। চর মন্ডলিয়া গ্রামের রুহুল আমিন বলেন আমি বিভিন্ন এনজিও এবং এলাকার মহাজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে খাল পাড়ে ত্রিশ ডিসিমেল জমি ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করি খাল খনন এর সময় কিছু জমি কেটে ফেলে আর বাকী বাড়ী এখন ভেঙ্গে গেল খালে এখন কোন ভাবে অন্যের জায়গায় ছাপড়া দিয়ে পড়ে আছি । সমিতির কিস্তি রয়েগেছে সুদের টাকা পড়ে আছে কিন্তু আমার বাড়ী খালে নিয়ে গেছে। কি দরকার ছিল এই ভাবে খাল কেটে কুমির আনার?